তিনি বলেন, ‘সারাদেশে লটারি না করে ধীরে ধীরে কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে আগামীতে ধান সংগ্রহ করার ইচ্ছা আমাদের আছে। আগামী বোরো মৌসুমে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনা আরও বৃদ্ধি করা হবে এবং সামনে আমন মৌসুম আসতে আসতে শতভাগ অ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ নিশ্চিত করা হবে।’
নওগাঁ সদর খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০১৯-২০২০ মৌসুমে আমন ধান-চাল সংগ্রহ ও ডিজিটাল খাদ্যশস্য ব্যবস্থপনার আওতায় ‘কৃষকের অ্যাপসের’ মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘আমন ধান সংগ্রহ অভিযানে এবারেই দেশের ১৬টি উপজেলায় পাইলট স্কিমের আওতায় কৃষক অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছে থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় যে তালিকা দিয়েছে সেই অনুযায়ী জেলা ও উপজেলাগুলোতে খাদ্য সংগ্রহ কমিটির তত্ত্বাবধানে কৃষকদের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার সাথে ধান কেনা হচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোহাজের হাসান, সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলামসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও চালকল মালিক গ্রুপের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে নওগাঁ সদর খাদ্য গুদামে ৩৬ টাকা কেজি দরে ৬ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে ৮৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে ২৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।
এছাড়া চলতি বছরে নওগাঁ জেলার ১৯টি খাদ্য গুদামে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১৭ হাজার ১১৪ মেট্রিক টন চাল, ৩৫ টাকা কেজি দামে ২ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দামে সরাসরি কৃষকের কাছে থেকে ১৯ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।